স্টাফ রিপোর্টার, সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ভুয়া মানি রশিদ দিয়ে দুজন কে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা ভোটার করার অভিযোগ অন্যতম। যে অনিয়মের খেসারত আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবিরের ভুয়া মানি রশিদ দিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শাহীন সরকার এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য আশরাফ হোসেন আকছির বিদ্যালয়ের দাতা ভোটার হিসেবে ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
একটি সূত্র জানায়, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শাহীন সরকার ও সাবেক অভিভাবক সদস্য আশরাফ হোসেন আকছির বিগত সময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন কবিরের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করে অনৈতিক সুবিধা প্রদান করায় তাদের প্রতি খুশি হয়ে প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবিরও প্রতিদান স্বরূপ শাহীন সরকার ও আশরাফ হোসেন আকছিরকে দুই লক্ষ দুই লক্ষ করে মোট চার লক্ষ টাকার ভুয়া মানি রশিদ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টা করে সরকার তথা বিদ্যালয়ের সাথে প্রতারণা করেছেন।
প্রধান শিক্ষকের এহেন অপকর্মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে না পেরে শাহীন সরকার ও আশরাফ হোসেন আকছির গত ১৩ জুন ২০১৯ ইং তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নির্বাচন ২০১৯ ইং এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবীনগর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীনগর, চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লাগণকে বিবাদী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে একটি ঘোষণামূলক মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার নম্বর দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-২৩৯/১৯ ইং।
পরে বিদ্যালয়ের পক্ষে মোকদ্দমাটি কনটেস্ট করতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক মোঃ মোছা প্রকৃত ঘটনাটি আইনজীবীর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতকে অবগত করলে আদালত মোকদ্দমার বাদীদেরকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আজীবন দাতা ভোটার হওয়ার শর্তাবলীর দুই লাখ করে দুজনের মোট চার লাখ টাকা জমা দেওয়ার মানি রশিদ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বাদীগন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ভুয়া মানি রশিদ আদালতে জমা দিলে বিবাদী গণের আইনজীবীরা জমা দেওয়া মানি রশিদটি জাল ও ভুয়া হিসেবে প্রতিবাদ করলে বিজ্ঞ আদালত জমা রশিদ উল্লেখিত টাকার ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতে জমা দেওয়া মানি রশিদটি প্রকৃত অর্থে ভুয়া হওয়ায় বাদীগন দেঃ ২৩৯/১৯ ইং মামলা চলমান রেখে ও উক্ত মামলাটি গোপন রেখে মহামান্য হাইকোর্টে বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিকেল ১০২ এর আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের বিরুদ্ধে এক writ (writ petition no- 6845/2019) দায়ের করিলে মহামান্য হাইকোর্ট এক রুলনিশি জারি করেন। যাতে অন্যান্যের সাথে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এর সভাপতিকে পক্ষ করা হয়।
পরে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোছা মহামান্য হাইকোর্টের রুলনিশির জবাব দেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের ঘোষণামূলক মোকদ্দমা নং-২৩৯/১৯ ইং এর বিষয়টি অবহিত করলে মহামান্য হাইকোর্ট গত ২৪ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে এক আদেশ দ্বারা বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে উক্ত রুল নিষ্পত্তি করিয়া রিট পিটিশন খারিজ করার আদেশ দেন।
বিঃদ্রঃ প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন কবিরের দূর্নীতি ও অনিয়মের আরো খবর জানতে সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সাথেই থাকুন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply